• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

ঘিওরে অবৈধ ড্রেজারে বালু উত্তোলন ' কর্তাদের পকেট ভারী

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১২ জানুয়ারি ২০২৩

এস. এম নুরুজ্জামান, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:
মানিকগঞ্জের ঘিওরে প্রশাসনের সহযোগীতায় বালু দস্যুরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। প্রভাবশালীরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নদী থেকে প্রতিদিন অসংখ্য বালু উত্তোলন করছে। এতে ওই এলাকায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুসহ ৩ গ্রামের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে। ভুক্তভোগীরা বালু উত্তোলন বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও ফল পাচ্ছে না। স্থানীয় প্রশাসনের অবহেলায় বেপরোয়া উঠেছে এসব ড্রেজার ব্যবসায়ীরা। 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের মেম্বার রতন মিয়া, ঘিওর উপজেলা যুবলীগ নেতা আমিনুর বেপারী, জাহাঙ্গীর আলম, উত্তর তরা গ্রামের মোহাম্মদ আলী এরা ঘিওর উপজেলার বিভিন্ন স্পর্টে নদীর মাঝে ৩-৪টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে প্রায় তিন মাস ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। প্রতিদিন তারা হাজার হাজার ঘনফুট বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে লাভবান হলেও এলাকার ফসলি জমি, সেতু ও বিভিন্ন স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে। এতে নদীর তীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
ঘিওরের শ্রীধন নগর গ্রামের ভুক্তভোগীরা বলেন, বালু দস্যুরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বাধা দেয়ার সাহস করে না। এরা ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নদীর গভীর থেকে বালু উত্তোলন করছে। এতে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় সেতুসহ নদীর তীরবর্তী গ্রামসহ শত শত বিঘা আবাদি জমি ভাঙনের মুখে পড়েছে। ভুক্তভোগীরা জানান, ড্রেজিং পদ্ধতিতে বালু উত্তোলন করা হলে ভরা বর্ষায় তাদের বসত ভিটা ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলন হবে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ২০১০ সালে বালু উত্তোলন নীতিমালায় যন্ত্রচালিত মেশিন দ্বারা ড্রেজিং পদ্ধতিতে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও সেতু, কালভার্ট, রেললাইনসহ মূল্যবান স্থাপনার এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন করা বেআইনি। অথচ বালু দস্যুরা সরকারি ওই আইন অমান্য করে ঘিওরের কুস্তা, শ্রীধর নগর, কুশুন্ডা, উত্তর তরা, জাবরা এলাকায় নদীতে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে।
এ বিষয়ে বালু উত্তোলনকারী বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের মেম্বার রতন বলেন, আমি রাস্তার কাজ করার জন্য ড্রেজার বসিয়েছি। ইউএনও স্যার দেশের বাহিরে রয়েছে। তবে এসিল্যান্ড স্যার খুব তারাতাড়ি কাজ শেষ করতে আমাদের চেয়ারম্যানকে ফোনে চাপ সৃষ্টি করছে। আমরা আপনাদের ভাই কিছু লিখেন নাহ। আমি জানি এগুলো অবৈধ কাজ। 
আরেক ড্রেজার ব্যবসায়ী আমিনুর বেপারীকে ফোন দেয়া হলে তিনি জানান,আমি ড্রেজার ভাড়া দিয়েছি। মুসা মেম্বার মেশিন চালায়। 
অন্য ড্রেজার ব্যবসায়ীরা এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। 
এ ব্যাপারে ঘিওর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোহছেন উদ্দিনের সরকারী মুঠোফোনে একাধীকার ফোন দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হামিদুর রহমান ভারত থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে তাহার সরকারি মুঠোফোন সহকারী কমিশনার ব্যবহার করেছেন। তিনি ওই ফোনও রিসিভ করেনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads